জীবনযাপন

যা মানলে সাফল্য এসে ধরা দেয়

 

যা মানলে সাফল্য এসে ধরা দেয়

আপনি-আমি সবাই জীবনে উন্নতি চাই। আমাদের প্রত্যেকের জীবন ধারা আলাদা, আমরা স্বতন্ত্র। আপনার যে সুযোগ আছে তা আপনার বন্ধুর নাই, আবার তার যে সুযোগ সুবিধা আছে তা আপনার নাই। যে সকল সুযোগগুলিকে আপনার বন্ধুটি ব্যবহার করে সফলতার মুখ দেখেছে, যেহেতু আপনার সেইগুলি নাই তাই আপনার উচিত আপনার নিজের কাছে যে সুযোগ গুলি আছে তা ব্যবহার করে জীবনে এগিয়ে যাওয়া ও সফলতা অর্জন করা। সেটা শিক্ষা, ব্যবসা, চাকুরী বা অন্য যেকোনো কিছু হতে পারে।

আমরা যখন একটি কাজ শুরু করি, তার আগে বিভিন্ন ধরণের পরিকল্পনা করে থাকি। অনেকে এই ক্ষেত্রে প্রফেসিওনাল গবেষকের সাহায্যও গ্রহণ করে। সবই ঠিক থাকে, কিন্তু যখন কাজ শুরু হয় তখন নতুন নতুন প্রতিবন্ধকতা দেখতে পাওয়া যায়। বাহ্যিক প্রতিবন্ধকতা থাকবেই, যা আমাদের আলোচনার বিষয় না। কিন্তু আপনার কাজের জায়গাতে আপনি, এমন কি ঠিকঠাক মতো করেন না, যা আপনাকে পিছিয়ে দিচ্ছে।

সাফল্যে মূল সমস্যা:

মূল সমস্যাই থাকে আমরা সঠিকভাবে কাজ সম্পাদন করতে পারি না, বা কোথা থেকে শুরু করবো, কোনটার পর কোনটা করবো বুঝতে  পারি না। কাজ সুন্দরভাবে করার জন্য স্থান, যন্ত্রপাতি,  কর্মী, প্রতিষ্ঠান, দক্ষতা কতো কিছু নিয়েই না ভাবি। তবে সবকিছুর মূল হচ্ছে নিয়মানুবর্তীতা। কিন্তু আমরা এই নিয়মানুবর্তীতা নিয়ে থাকে না কোনো তোয়াক্কা। যার ফলে আমরা আমাদের কাজের ক্ষেত্রে ক্ষতির সম্মুখীন হই। তাই সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। আর সময়ের সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য নিম্মক্ত কিছু অতি জরুরি কিছু টিপস নিচে দেওয়া হলোঃ

একসাথে একাধিক কাজ এড়িয়ে চলুনঃ

আপনার একসাথে একাধিক কাজ করার দরকার মনে হতে পারে, তবে, একসাথে একাধিক কাজ সম্পন্ন করার মানসিকতা পরিহার করা আপনার জন্য সঠিক হবে। আপনি যখন কোনো কাজে মনোনিবেশ করবেন এবং কিছুক্ষন পর সেই কাজ রেখে অন্য কাজ  করবেন তখন প্রথম কাজটিতে পুনরায় শুরু করতে আপনার কিছু সময় নষ্ট হবে, কারণ সময় কিন্তু মাত্র ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা। এই জন্য বলা হইয়ে থাকে যে, সময় হচ্ছে টাকা। তাই যতটা সম্ভব কাজকে নির্দিষ্ট ভাগে ভাগ করার চেষ্টা করুন।

আপনার পরিবেশ কাজের উপযোগী করুনঃ

কর্মক্ষেত্রে কাজে মনোনিবেশ করার মতো পরিবেশ তৈরি করুন যেনো সেখানে কোনো ধরনের বিক্ষিপ্ততা, গোলমাল এবং আওয়াজ না আসে। আপনার কর্মক্ষেত্র আরামদায়ক, টেকসই এবং স্বাধীনভাবে চলাফেরার উপযোগী করে তুলুন। আপনার কর্মক্ষেত্রে মানুষ, সরঞ্জাম এবং উপকরণগুলিকে এমনভাবে সজ্জিত করুন যাতে সবকিছু এবং সবাইকে পুনর্বিন্যাস না করে কাজগুলি করা সহজ হয়।

অন্যদের কাজ অর্পণ করুনঃ

আপনি যদি একটি দল পরিচালনা করেন তবে তাদের বুদ্ধিমত্তার সাথে ব্যবহার করুন। আপনার নিজের শক্তি এবং দুর্বলতাগুলির পাশাপাশি তাদের কর্মদক্ষতা সম্পর্কেও সচেতন থাকুন, যাতে আপনি তাদের এমন কাজগুলিকে অর্পণ করতে পারেন, যেগুলি আপনার করতে অনেক বেশি সময় লাগে, সেগুলি যারা দ্রুত করতে পারে। এটি বিশেষত্ব এবং অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য কারণ সঠিক কাজের জন্য সঠিক লোকেদের বরাদ্দ করা কর্মচারী উৎপাদনশীলতার চাবিকাঠি।

স্বয়ংক্রিয় করতে প্রযুক্তি ব্যবহার করুনঃ

স্বয়ংক্রিয় রুটিন কাজগুলি আপনার কাজের জীবনের জন্য বিস্ময়কর ভাবে কাজ করবে। গ্রাহক পরিষেবার প্রশ্নের উত্তর দিতে চ্যাটবট ব্যবহার করা, বা বুকিং এবং বিক্রয় পরিচালনার জন্য সফ্টওয়্যার নিয়োগ করা অথবা কিছু দায়িত্ব রিমোটলি বিভিন্ন ফ্রীলান্সারদের দিয়েও করিয়ে আনতে পারেন। ব্যস্ত মানুষের জন্য, সময় সাশ্রয় করার মারাত্মক একটি উপায় ৷

সময় সূচীকে বাধ্য করাঃ

কথায় আছে সময় এবং পানির স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। একবার সময় চলে গেলে তা ফিরে পাওয়া যায় না। তাই সময় সূচীকে নিজের কাছে বাধ্য করতে হবে যাতে সময়ের অপব্যবহার না হয় । একটি নিদিষ্ট সময়ে একটি নিদিষ্ট কাজ শেষ করতে হবে এবং সময়ের সাথে কাজ করার দক্ষতা বাড়াতে হবে।

নিজের সময়কে প্রাধান্য দিতে শিখুনঃ

আপনার সময় খুবই মূল্যবান তাই যখনই সুযোগ পাবেন তাকে কাজে লাগিয়ে ফেলতে হবে। আমরা অনেক সময় এমন সব কাজ করি যা এই মুহূর্তে খুব করতে ইচ্ছা করছে কিন্তু না করলে কোনো ক্ষতি নাই, অথবা লাভও নাই। এই জাতীয় অপ্রোজনীয় কাজ পরিহার করতে হবে, আমি আপনাকে আবারো বলছি অপ্রোজনীয়। কাজের মধ্যে শৃঙ্খলা বোধ আনতে হবে।

সুস্থতা: 

সুস্থতা আপনার , জন্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ, দেখুন পৃথিবীতে মানুষ সব কিছু ধার, ভাড়া অথবা লোন পাওয়ার সকল ব্যবস্থা করে ফেলেছে। আপনি টাকা, পয়সা, বাড়ি গাড়ি , জামা কাপড়  সব কিছুই চাইলেই পাবেন কিন্তু আপনার নিজের সুসাস্থ কখনো ভাড়া অথবা লোন করতে পারবেন না। আবার দ্বিতীয়বার সৃষ্টিকর্তার কাছথেকে সংগ্রহ করতে পারবেন না, তাহলে আপনি হচ্ছেন সৃষ্টিকর্তার একটি ইউনিক প্রোডাক্ট। যার একবারই সৃষ্টি আবার একবারই ধ্বংস। অতএব এই জিনিসটা আপনার একমাত্র ব্যাক্তিগত জিনিস আর কারো নয়। তাই মনের যত ভালোবাসা আছে, তা দিয়ে এটাকে ভালোবাসুন। নিজের সাস্থের প্রতি যত্ন নিন। এক মাত্র সুস্থ থাকলেই আপনি জীবনে কাজ করেতে ও করাতে পারবেন, চিন্তা চেতনা গুলো ঠিক মতো কাজ করবে এবং উন্নতি করতে পারবেন।

উপসংহার:

পরিশেষে বলা যায়, যেকোনো কাজে সফলতার জন্য যেমন কঠর পরিশ্রম আবশ্যক ঠিক তেমনি সময়ের সুষ্ঠু ব্যবহারো আবশ্যক। সময়কে কেন্দ্র করেই আমাদের সফলতা নির্ভর করে। তাই সময় ব্যাবস্থাপনা খুব সুষ্ঠ ভাবে করতে হবে। সময় ব্যাবস্থাপনার মধ্যে এখনতো ফেসবুকও চলে আসছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button