জীবনযাপনস্বাস্থ্য

খেয়ে ওজন কমান

খেয়ে ওজন কমান

আপনি কি অনেক মোটা হয়ে যাচ্ছেন? এখন একটু হাঁটলেই আপনার হাসপাস লাগে অথবা কিছুটা কাজ করলেই মনে হয় একটু বিশ্ৰাম নেওয়া জরুরি। এই সমস্যাটি আপনার জীবনে অনেক বড়ো ঝামেলার সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা এমন সমস্যাকে মানূষের জীবনের জন্য অনেক বড়  হুমকি হিসেবে দেখছে। মোটা সাস্থ কমানোর বিভিন্ন উপায় রয়েছে, তবে আজ আমরা আপনাদেরকে সবুজ কফির কথা বলবো। কিন্তু গ্রিন কফি কিভাবে, কখন আপনার স্বাস্থকে কমাতে পারে সেটাই আজ এখানে বলবো।

গ্রীন কফি খেয়ে ওজন কমান:

আমরা জানি, কফিকে প্রক্রিয়াজাত  করার সময় ভাজা হয় যেন স্বাদ আরো বেড়ে যায়। কিন্তু এতে অনেক পুষ্টিগুণ কমে যায়। আর গ্রীন কফি হলো বাজারে যে কফি পাওয়া যায় তার আগের রূপ। অর্থাৎ প্রক্রিয়াজাত করার আগের রূপ, যেখানে কফির সকল পুষ্টিগুণ থেকে যায়। যা মানুষের শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু কিভাবে তা আমরা এখন জানবো।

গ্রীন কফিতে কি কি আছে:

গ্রীন কফিতে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড প্রচুর পরিমানে পাওয়া যায়, যা হৃদরোগের বিরুদ্ধে ব্যাপক ভাবে কাজ করে। প্রক্রিয়াজাত করা হয় না বিধায় এতে খুব কম পরিমান ক্যাফেইন দেখতে পাওয়া যায়। যা ওজন কমানোর জন্য ব্যাপক ভাবে ভূমিকা রাখে।

অন্য একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, সবুজ কফিতে পাওয়া ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড চর্বিকে বাধা সৃষ্টি করে এবং লিভারকে সক্রিয় করে বিপাক ক্রিয়া বৃদ্ধি করে। যে কারণে চর্বি সৃষ্টি হতে পারে না যা মূলত স্থূলতার জন্য দায়ী।

বিশেষজ্ঞরা আরো একটি জিনিস দেখেছেন যে, গ্রীন কপিতে ট্রাইগোনেলাইন নামক একটি উপাদান পাওয়া যায়, যা কিনা রক্তে চিনির খারাপ প্রভাবকে কমাতে পারে।

শুধু তাই না ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড মেটাবলিজম প্রক্রিয়া উন্নতি করে এবং যা কিনা স্থূলতার জন্য দায়ী হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে।

কিভাবে গ্রীন কফি খাবেন:

এক চা চামচ গ্রীন কফিকে ব্লেন্ডারে গূঢ় করে এক কাপ গরম পানির ভেতর আট-দশ মিনিট ভিজিয়ে রাখবেন। এর পর মিশ্রণটি ভালো মতন গুলিয়ে খেতে পারবেন। তবে ইচ্ছা করলে একটু মধু মিলিয়ে নিতে পারেন। তবে গ্রীন কফির গুনাগুন বৃদ্ধি করতে আপনি গরম পানির ভেতর ৫-৮ টি পুদিনা পাতাও ভিজিয়ে রাখতে পারেন। পুদিনা পাতা কফির প্রভাবকে আরো বাড়িয়ে তুলবে কারণ পুদিনাপাতার পেপারমিন্টে রক্তের শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রয়েছে।

গ্রিন কফি পান করার সঠিক সময়:

সঠিক সময়ে গ্রিন কফি গ্রহণ করলে স্থূলতা খুব দ্রুত কমতে পারে। তাই ওই সকল সময়ই গ্রীন কফি খাওয়া ভালো:

  • সকালে ব্যায়ামের আগে বা পরে গ্রীন কফি খাওয়ার চমৎকার সময়।
  • সকালের নাস্তার টেবিলে এই কফি রাখতে পারেন।
  • আবার দুপুর বেলা খাবার গ্রহণ করার আগের সময়টাকে উপযুক্ত মনে করা হয়।

এখন আমাদের মনে হয়, গ্রীন কফি সম্পর্কে আপনার একটি পরিষ্কার ধারণা হয়েছে। এবং এতক্ষনে বুঝে গেছেন কিভাবে গ্রীন কফি আপনার ওজনকে রাশ করতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button