ঘরে বসে মোবাইলে আয় ও অনলাইন ইনকাম
ঘরে বসে মোবাইলে আয় অর্থাৎ অনলাইনে থেকে বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা কি আসলেই খুব সোজা? যদি অনলাইনে একেবারে নতুন হয়ে থাকেন,বুঝতে পারছেন না অনলাইন ইনকাম কিভাবে করা যায়? তাদের জন্য এই আর্টিকেল।
ঘরে বসে মোবাইলে আয়- প্রযুক্তি
প্রযুক্তির উৎকর্ষে আস্তে আস্তে এখন সবকিছুই মানুষ ঘরে বসেই করতে চায়। আগে যেমন আমরা, একটি কম্পোজ করতে টাইপিস্ট এর কাছে দোকানে যেতাম, এই দোকানটি এখন আপনার কম্পিউটারের মনিটরে। কাউকে আপনি কাজটার ছবি তুলে পাঠিয়ে দিলেন সে ওটা দেখে দেখে আপনাকে কম্পোজ করে দেবে। এখন সে কাজটা করল, এতে তার আয় হলো। এরকম অসংখ্য কাজ পৃথিবীতে আছে, এটা আমাদের দেশে এখনো ওইভাবে প্রচলন শুরু হয়নি, অনলাইনে বেশি মানুষ কাজ করাচ্ছে না। কারন আমরা এখনো শিক্ষানবিশ অবস্থায় আছি। আমরা এখনো দোকানে কম্পোজারের পাশে বসে কম্পোজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। কিন্তু উন্নত বিশ্ব, তারা এখন প্রায় সবকিছুই ঘরে বসে, মনিটরেই কাজ সেরে ফেলছে। তারা চেষ্টা করছে ঘরে বসেই অফিস পরিচালনা করতে।
আমরা কি করতে পারি
আপনি এই মুহূর্তে যা কিছু পারেন তা নিয়েই অনলাইনে কাজ করতে পারবেন। যেমন ধরুন আপনি কবিতা বা রচনা লিখতে পারেন তবে অবশ্যই সেগুলো ইংলিশে।
এখানে ফ্রি ইংলিশ প্রশিক্ষণ করতে পারেন। আবার বেশ ভালো করেছে অনলাইনে IELTS কোর্স এর ক্ষেত্রে এরা, আপনি ঘরে বসে সুবিধাজনক সময়ে IELTS এই কোর্সটি পুরো শেষ করতে পারবেন। (একাডেমিক এবং জেনারেল ট্রেনিং উভয়) একটি স্মার্ট পদ্ধতিতে এরা শিক্ষার্থীদের অযৌক্তিক বিষয়গুলি এড়াতে পারা যাবে, তা শেখায়।
যখন বাংলাদেশের মানুষ এগিয়ে আসবে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে তখন হয়তোবা বাংলায় কাজ করা যাবে। ততদিন আপনাকে একটু কষ্ট করে ইংলিশে করতে হবে। আপনি ভালো ছবি তুলতে পারেন, আপনি ভবিষ্যৎবাণী করতে পারেন, আপনি হাত দেখতে পারেন, আপনি কৌতুক লিখতে পারেন, বাংলাদেশ থেকে কেউ কিছু ইমপোর্ট করতে চায় আপনি সেই প্রসেস জানেন. আপনি তাও করতে পারেন। আপনি গ্রাফিক ডিজাইন, এসইও, ইমেইল মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, কনটেন্ট মার্কেটিং, ইনবাউন্ড মার্কেটিং, ব্লগিং, পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট, টেকনিকাল রাইটিং, ট্রাভেল রাইটিং, ফটো এডিটিং, প্রডাক্ট রিভিউ রাইটিং, অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের একাউন্ট ক্রিয়েট ইত্যাদি। আমি যে সকল কাজের কথা বললাম এরকম হাজারো কাজ অপেক্ষা করছে। তাই আমি অনলাইনে আয় করার সবচেয়ে সহজ উপায় বলব, আপনি সিদ্ধান্ত নিন।
নির্ধারণ করা
এখন সিদ্ধান্ত নিতে হয়তবা আপনার কষ্ট হচ্ছে আসলে কোনটা কি? কোনটা আপনার জন্য ভালো হবে তাইনা, কোনটা আপনি পারবেন। সে ক্ষেত্রে একটু কষ্ট করে আমি নিচে কিছু মার্কেটপ্লেস। মার্কেটপ্লেস বলতে যে ওয়েবসাইটগুলোতে গেলে এসব কাজ আপনি পাবেন এবং টাকাও আপনি নিশ্চিত ভাবে পাবেন।
তবে অনলাইনে বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণের মধ্যে অল্প খরচে এই ট্রেনিং গুলো আপনি দেখতে পারেন:-
আপনি এটা পড়তে পারেন “নতুন ব্যবসায়ীদের ৫০ লাখ টাকা ঋণ সুবিধা“
কোথায় যাওয়া উচিত
তবে মনে রাখবেন, আশেপাশের অনেকেরই নৈতিক সমস্যা রয়েছে। অর্থনৈতিক লেনদেন তাদের ভালো না, এমন অনেক প্রতিষ্ঠানো আছে। ঠিক তেমনি এখানেও অসংখ্য ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠান কাজ করছে।
প্রত্যেকটি ওয়েবসাইট একটি প্রতিষ্ঠানের অথবা একজন ব্যক্তির। সাধারণত আমরা দেখে থাকি আমাদের আশেপাশে অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা খুব সুন্দর করে অফিস সাজিয়ে বসে থেকে, মানুষের টাকা পয়সা নিয়ে কিছু দিনের ভেতর অফিস বন্ধ করে চলে যায়। আমাদের নিরাপদ থাকতে হবে। এখন আমি নিচে কিছু ওয়েবসাইটের ঠিকানা দিচ্ছি যা পৃথিবীতে ভালো/Trusted. বর্তমানে যেমন বাংলাদেশের বড় বড় কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলোতে আমরা কাজ করতে পারলে নিজেদেরকে সৌভাগ্যবান মনে করি। পৃথিবীতে সেই পর্যায়ের কিছু ওয়েবসাইট আছে।
সময় নিন
ঘরে বসে মোবাইলে আয় শুরু করার আগে একমাস সময় নিন, মাঝে মাঝে এই ওয়েবসাইটগুলো একটু ঘুরে দেখুন কত রকমের কাজ এখানে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। এখন কোন কাজটা আপনি পারবেন সেটা একটু ঘুরে ঘুরে দেখুন। যখন আপনার মনে হবে কোনো একটা কাজ আপনি করতে পারবেন তখন সেটা ভালোমতো রপ্ত করুন। তার পর খুব সাবধানে এখানে আপনি একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।শুধু শুধু একটি অ্যাকাউন্ট খুললেই কিন্তু এখানে কোন কাজ হবেনা।
কীভাবে শুরু করব
আপনাকে ওই কাজটি সুন্দরভাবে শিখতে ও করতে হবে। ওই কাজটা খুব ভালোভাবে সুচারুভাবে বাসায় ১০/১২ বার প্র্যাকটিস করুন। আপনার আশেপাশের কোন আত্মীয় স্বজন দিয়ে পরীক্ষা করেন, স্পেলিং ও ব্যাকরণ ঠিক আছে কিনা? আরও একটা কাজ করতে পারেন, আপনার কম্পিউটারে ক্রোম ব্রাউজারে গুগল ট্রান্সলেটর এক্সটেনশন টি যুক্ত করে নিন।
এ অবস্থায় যখন যাবেন, তখন একটা একাউন্ট খুলে, কাজ করার চেষ্টা করুন। এটা হচ্ছে কোন খরচ ছাড়াই ইনকামের পথ। এখন আপনি যদি কিছু খরচ করতে পারেন, তবে অন্যান্য বিষয় দেখতে পারেন, যেমন:- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ড্রপ শিপিং, ই-কমার্স সাইট, ব্লগিং ইত্যাদি।
আমাদের এই সাইটে আপনাদের জন্য ড্রপ শিপিং এর উপর ফ্রীতে কমপ্লিট একটা গাইড লাইন দেওয়া আছে। যেখানে এমন কিছু পাবেন যা আজ পর্যন্ত কেও খুলে বলে নাই।
আরও জ্ঞান
আমরা আপনাকে প্রাথমিকভাবে জানলাম। আপনি প্রাথমিক আইডিয়া এখান থেকে পেলেন, আপনি যদি আরও বিস্তারিত জানতে চান তবে আমাদের ওয়েবসাইটে আরও কিছু আর্টিকেল আছে সেগুলো পড়তে পারেন। আপনি ইউটিউবে ভিডিও দেখা শুরু করলে বছর পার হয়ে যাবে কিন্তু সুনির্দিষ্ট ভিডিও আপনি অত সহজে পাবেন না। তাই মনে রাখবেন শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ভিডিওগুলো একটু খুঁজে খুঁজে দেখতে হবে। সে ক্ষেত্রে আমি পরামর্শ দেবো যে, বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তারা আপনাকে অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন কোর্স অফার করে থাকে। অনলাইনে আপনি একটু যাচাই-বাছাই করে, বিশেষ করে তাদের কোম্পানির রিভিউ দেখে তবে তাদের কাছ থেকে শিখতে পারেন। কিছু বিষয় আছে যেগুলো ফ্রিতে অনেক সময় ও গবেষণার পরে আপনি শিখতে পারবেন।
শব্দগুলি জানুন
প্রথম দিকে, কাজ এর নাম গুলোর সাথে আপনার পরিচয় হবে। একটু ঘাটাঘাটি করে জেনে নিন কোনটার কি কাজ। এটা-ত্তটার মানে কি? এসব জানতে গেলে আপনি গুগলে সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন। আপনি খুব দ্রুতই ওয়েবসাইট থেকে একদম নির্দিষ্টভাবে, আপনি যা জানতে চান তা জানতে পারবেন। ইউটিউব থেকে জানতে গেলে আপনাকে একটু বেশি সময় ব্যয় করতে হবে।
নিচে মার্কেটপ্লেসের অ্যাড্রেস এবং লিঙ্ক:
আর একটা কথা বিশেষ ভাবে বলে দিচ্ছি, নিচের ওয়েবসাইট গুলোতে আপনি যখন যাবেন তখন তারা আপনার কাছে ইমেইল চাইতে পারে। সে ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে কোনো ইমেল দিবেন না। শুধু দেখার উদ্দেশ্যে ঘুরে দেখবেন ওয়েবসাইটগুলো। তাদের অনেক ক্যাটাগরি আছে, অনেক কাজের অনেক ক্যাটাগরি, আপনি শুধু সেই গুলো ঘুরে ঘুরে দেখুন। যদি ইমেইল দেন তবে কিন্তু ঐখানে আপনার নামে একটি একাউন্ট ওপেন হইয়ে যাবে, আপনার কোনোরকম প্রস্তুতি ছাড়ায়। আর ওই ডিভাইস থেকে আপনি আর কোনো একাউন্ট স্বাভাবিক ভাবে খুলতে পারবেন না সঠিক উপায়ে।
- Fiverr (নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য)
- Upwork
- Freelancer
- People per hour
- Guru
- 99designes
- Design crowd ইত্যাদি।
আমরা আপনাকে আবারও বলছি, এখানে প্রশিক্ষণ ছাড়া কিছু করবেন না। পৃথিবীর যে কাজই আপনি করতে চান তা অবশ্যই শিখতে হবে।
প্রথমে ভাবুন, যখন আপনি হাঁটতে পারতেন না, তখন আপনার পিতামাতা আপনাকে কীভাবে চলতে হবে তা শিখালেন। কথা বলতে শিখালেন।
“কথা” বলা মাত্র, তাও ওটা শিখতে হলো !!!!
যে কোম্পানিতেই চাকরি করতে যান না কেন প্রথম ১ বছর তো আপনাকে কোনো রকম বেতনে প্রশিক্ষণ দিবে। ওই প্রশিক্ষণ সময়টি বেশ কঠিন, আর ঘরে বসে মোবাইলে আয় তো আরো কঠিন।
Very good blog!
Do you have any tips for aspiring writers?
I’m hoping to start my own website soon but I’m a little
lost on everything. Would you recommend starting with a free platform
like WordPress or go for a paid option?
There are so many choices out there that I’m completely overwhelmed ..
Any tips? Appreciate it!